গাঁদা ফুলের বৈজ্ঞানিক চাষ
ফুলের মধ্যে গাঁদাটির একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। গাঁদা ফুল পূজার পাশাপাশি জন্মদিন, বিবাহ এবং অতিথিদের স্বাগত জানাতে উদযাপনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এর বাইরে, আজকাল এটি মুরগির খাদ্য হিসাবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ কারণে ডিমের মান ভালো হয় এবং কুসুমের রং হলুদ হয়ে যায়। গাঁদা চাষ করার আগে এর কিছু সূক্ষ্মতা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মাটি এবং জলবায়ু
-
এর চাষের জন্য দোআঁশ মাটি, কাদামাটি মাটি এবং বেলে দোআঁশ মাটি সবচেয়ে ভালো।
-
প্রায় সব ধরনের জলবায়ুতে গাঁদা চাষ করা যায়।
-
এর চাষের জন্য শীত, গ্রীষ্ম এবং বৃষ্টি সব asonsতুতেই করা যায়।
খামার প্রস্তুতি
-
মাঠ প্রস্তুত করার সময় প্রথমে মাটি বাঁকানো লাঙ্গলের সাথে 1-2 বার গভীর চাষ করুন।
-
এর পর 2 থেকে 3 বার দেশি লাঙ্গল বা চাষের সাথে হালকা চাষ করুন।
-
ক্ষেত থেকে নুড়ি ও পাথর ইত্যাদি সরান।
-
এবার মাঠে একটি প্যাড লাগিয়ে মাটিকে ভাজা করে তুলুন।
-
চারা রোপণের জন্য মাঠে বিছানা তৈরি করুন।
-
জমিতে সঠিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা করুন।
সার এবং সার
-
ক্ষেত প্রস্তুত করার সময় প্রতি একর জমিতে 80 কুইন্টাল কম্পোস্ট যোগ করুন।
-
ফুলের সংখ্যা এবং গুণমান বাড়ানোর জন্য প্রতি একর জমিতে 25 কেজি নাইট্রোজেন, 24 কেজি ফসফরাস এবং 25 কেজি পটাশ প্রয়োগ করুন।
-
রোপণের 30 থেকে 40 দিন পর প্রতি একরে 25 কেজি নাইট্রোজেন প্রয়োগ করুন ।
সেচ ও আগাছা নিয়ন্ত্রণ
-
ঠান্ডা আবহাওয়ায় 10 থেকে 15 দিনের ব্যবধানে সেচ দিন।
-
গ্রীষ্মকালে 5 থেকে 7 দিনের ব্যবধানে সেচ দিতে হবে।
-
ক্ষেতে আগাছা দিয়ে সহজেই আগাছা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ফুল তোলা
-
ফুলগুলি পুরোপুরি ফোটার পরে সংগ্রহ করুন।
-
সকাল এবং সন্ধ্যায় ফুল তোলা উচিত।
এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুগ্রহ করে লগইন করুন

Get free advice from a crop doctor
